Thursday 1 October 2015

কথোপকথন

- কেমন আছিস। 
- এই ব্যস্ত। 
- ওহ, খুব কাজের চাপ নাকি। 
- ওই খানিকটা। কেন কিছু দরকার। 
- আর এইবয়েসে কেউ দরকারে কথা বলে বল। সব কথা অদরকারেই হয়ে। 
- আরেঃ বলো বলো। ওই কয়েকটা জিনিস নিয়ে একটু ফেঁসে আছি আরকি। 
- কেন। কি হয়েছে, তুই আজকাল আমার সাথে আর কথা বলিসনা। 
- ছেড়ে দাও ওসব ঝামেলার বৃত্তান্ত শুনে লাভ নেই। তুমি বল। 
- বলছি ইয়ে ছাদে ওই চন্দ্রমল্লিকার টবে জল দেয়া হচ্ছে তো। 
- চন্দ্রমল্লিকা?
- হাঁ ওই চন্দ্রমল্লিকা, নয়নতারা আরও যে দুটো কুমড়োফুল এর গাছ লাগানো হয়েছিল? 
- শেষ কবে ছাদে উঠেছিলে?
- সেকিঃ! মরে গেছে?
- ছাদ এখন ত্রিপল দিয়ে ঢাকা। বৃষ্টির জল পরে খুব নষ্ট হচ্ছিল, তাই আমিই লাগিয়েছিলাম। ওখানে আর টব রাখা হয়েনা। 
- বেশ বেশ। ভালই হয়েছে। ছাদটা তো বেঁচে গেল। তবে এখন আর দুপুরের রোদে ছাদে মাদুর পাতা হয়েনা তাই তো! তোর মা আচার কোথায়ে শুকায়ে?
- তুমি অনেকদিন বাড়ি যাওনি না!
- সে তো তুইও অনেকদিন যাসনি। আমি গেছিলাম, কিন্তু বাইরে থেকেই কেমন একটা শ্রীহীন শ্রীহীন লাগল। বৌমা বাড়িতে নেই?
- বারবার একই কথা কেন জিগ্যেস কর বলতো। 
- নাঃ আবার আরেকটা পুজো বাড়ির মেয়ে বাড়িতে থাকবেনা। তোর মেয়েটা কই, কেমন আছে এখন ও? 
- ভালো আছে, নিজের মায়ের সাথে আছে। তুমি এখন এসো বুঝলে, পরে কথা হবে। 
- আমি অনেকক্ষণ ধরে কলিং বেল বাজিয়ে যাচ্ছি, কেউ দরজা খোলেনা! তোর মাকে বলনা একটু দরজাটা খুলে দিতে। 
- ওই বাড়িতে এখন আর কেউ থাকেনা বাবা। তুমি এখন এসো। 

1 comment: