Wednesday 16 September 2015

সর্বশিক্ষা অভিযান

বুদ্ধিবৃত্তির চেষ্টায় আধুনিক কবিতা বা ফিল্ম ফেস্টিভাল এ রুচি রাখাটা হাস্যকর। কলম পার্কার হলে ক্ষতি নেই, তবে কালি পরাটা জরুরী। 
উপঢৌকনটুকু সুন্দর হলে ভালো, তবে পোশাকের নিচে যেন লুকাতে না হয়ে। তার চেয়ে আদুড় গায়ে থাকা ঢের ভালো। তবে সমস্যাটা ওখানেই, আমার তোমার চেয়ে পাড়ার পাগলা দাশু is literally more comfortable in his own skin.

নিজস্বতা শব্দটা বড় ভারী শব্দ। কিন্তু বেশিরভাগ নির্বোধেই এর যথেচ্ছ ব্যবহার করে। আমি বাকিদের চেয়ে আলাদা ভেবে যে privileged feelটা আসছে ওটা মূর্খামি। "কি করব আমি এরকমই"। তুমি বাকি সবার মতোই বটে, অন্তসারশুন্য। তবে সান্তনা এটাই যে জাহির করার সংস্কৃতিটা এখন social practice. সামাজিক হতে গেলে একটু খোকলা হওয়া জরুরি। পাগলাগারদে এক পাগল ভাবে সে বাকিদের মত অতটাও পাগল নয়, আর অন্যজন ভাবে এতজন রুগীর মাঝে সে একা ডাক্তার। 

আমরা আধুনিক, অগ্রণী। অতীতকে পিছনে ফেলে ভবিষৎ এর দিকে তাকিয়ে হাঁটছি। To flourish is the way forward. কমবেশি পুরোটাই ছকে নেয়া, বাকিটা যেতে যেতে করে নেব। তবে দাড়াব না। দাড়িয়ে পড়েছি মানে আমার ভাগ্যও দাড়িয়ে পড়েছে। তারপর পাড়ার জেঠুদের মত কপালের লেখা, হাতের আংটি আর সেভেন্থ পে কমিশন নিয়ে গজেলা করাটা ঠিক পর্তায়ে পোষাবে না।
কিন্তু হায়। মুহূর্তটাক সময় করে একবারও ইতিহাসের পাতাটা পাল্টে দেখইনি। পছন্দের বিষয় ছিলোনা বটে, তবু আমার সব ভুলের হিসেব তো ওখানেই আছে। এরম চোখে আঙ্গুল দিয়ে আর কে শেখাবে। 

জীবনটা হয়তো straight line. কিন্তু মূর্খের জীবন একটা circle। শুরু আর শেষ একই জায়গায়। 

এই বুঝলেন! আপনাদের শেখাবো এই ঔধত্ব আমার নেই। কেবলই আত্মদর্শন। Self education is the best education. তাই নিজেকে দিয়ে শুরু করলাম।

1 comment: