- কেমন আছিস। - এই ব্যস্ত। - ওহ, খুব কাজের চাপ নাকি। - ওই খানিকটা। কেন কিছু দরকার। - আর এইবয়েসে কেউ দরকারে কথা বলে বল। সব কথা অদরকারেই হয়ে। - আরেঃ বলো বলো। ওই কয়েকটা জিনিস নিয়ে একটু ফেঁসে আছি আরকি। - কেন। কি হয়েছে, তুই আজকাল আমার সাথে আর কথা বলিসনা। - ছেড়ে দাও ওসব ঝামেলার বৃত্তান্ত শুনে লাভ নেই। তুমি বল। - বলছি ইয়ে ছাদে ওই চন্দ্রমল্লিকার টবে জল দেয়া হচ্ছে তো। - চন্দ্রমল্লিকা? - হাঁ ওই চন্দ্রমল্লিকা, নয়নতারা আরও যে দুটো কুমড়োফুল এর গাছ লাগানো হয়েছিল? - শেষ কবে ছাদে উঠেছিলে? - সেকিঃ! মরে গেছে? - ছাদ এখন ত্রিপল দিয়ে ঢাকা। বৃষ্টির জল পরে খুব নষ্ট হচ্ছিল, তাই আমিই লাগিয়েছিলাম। ওখানে আর টব রাখা হয়েনা। - বেশ বেশ। ভালই হয়েছে। ছাদটা তো বেঁচে গেল। তবে এখন আর দুপুরের রোদে ছাদে মাদুর পাতা হয়েনা তাই তো! তোর মা আচার কোথায়ে শুকায়ে? - তুমি অনেকদিন বাড়ি যাওনি না! - সে তো তুইও অনেকদিন যাসনি। আমি গেছিলাম, কিন্তু বাইরে থেকেই কেমন একটা শ্রীহীন শ্রীহীন লাগল। বৌমা বাড়িতে নেই? - বারবার একই কথা কেন জিগ্যেস কর বলতো। - নাঃ আবার আরেকটা পুজো বাড়ির মেয়ে বাড়িতে থাকবেনা। তোর মেয়েটা কই, কেমন আছে এখন ও? - ভালো আছে, নিজের মায়ের সাথে আছে। তুমি এখন এসো বুঝলে, পরে কথা হবে। - আমি অনেকক্ষণ ধরে কলিং বেল বাজিয়ে যাচ্ছি, কেউ দরজা খোলেনা! তোর মাকে বলনা একটু দরজাটা খুলে দিতে। - ওই বাড়িতে এখন আর কেউ থাকেনা বাবা। তুমি এখন এসো।
Thursday, 1 October 2015
কথোপকথন
Subscribe to:
Posts (Atom)